26 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১, ২০২৫

জনগণের অধিকার নিশ্চিতে আট বিষয়ে সংস্কার ভাবনা তুলে ধরলেন জননেতা তারেক রহমান

Must read

দলমতনির্বিশেষে দেশের সব রাজনীতিকের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা বাস্তবধর্মী সমালোচনা অবশ্যই করতে পারি, কিন্তু এগুলো যদি আমরা অ্যাড্রেস করতে ভুলে যাই, তাহলে এই দেশের সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের কারো সেটি চাওয়া নয়। আসুন আমরা জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলি, চিন্তা করি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমালোচনা থাকবে। তবে যেন কোনোভাবেই জনগণের ইস্যুগুলোকে ভুলে না যাই। সমালোচনা করতে গিয়ে জনগণের দাবি থেকে সরা যাবে না। এমনটা ঘটলে দেশের সব সম্ভাবনা বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। যা আমাদের কারো কাম্য নয়। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বসে যেন জনগণের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারি—আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুন।

তিনি বলেন, সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। বিএনপি দায়িত্ব পেলে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করবে। নির্বাচন ও সংস্কারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, বাজার ব্যবস্থা এবং নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ডিবেট হওয়া উচিত। নিত্যপণ্যের দাম নাগালে আনতে রাজনৈতিক দলগুলো কেন বিতর্ক করছে না? এ সময় তিনি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ নতুন করে আট বিষয়ে নিজের সংস্কার ভাবনা তুলে ধরেন।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন তারেক রহমান। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের সম্মানে রাজধানীর গুলশানের শুটিং ক্লাবে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে এনডিএম। দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক এবং পেশাজীবী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানে নিজের আট সংস্কার ভাবনা নিয়ে তারেক রহমান বলেন, ১. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যন্ত্রণায় আছে এ দেশের মানুষ। আমরা কেন রাজনৈতিক দলগুলো এগুলো নিয়ে ডিবেট করছি না যে, রায় আমার পক্ষে আসলে আমি কীভাবে এগুলো নিয়ে ডিল করব। কীভাবে এগুলো মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখব। উৎপাদন বাড়াব। আমি মনে করি, উৎপাদন ব্যবস্থা, বাজার ব্যবস্থা এগুলো নিয়ে প্রস্তাবনা থাকা উচিত। ডিবেট হওয়া উচিত। ২. আমাদের ২০ কোটি মানুষের মিনিমাম চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করব—সেই সংস্কার নিয়েও কথা বলা দরকার। ৩. আমরা যদি সঠিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারি, তাহলে দেশকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব? তাই আমরা শিক্ষাব্যবস্থাকে কীভাবে দেখতে চাই—এটার একটা সংস্কার প্রস্তাব থাকতে হবে। ৪. উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমাদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। কীভাবে আমরা উৎপাদন বাড়াব সেই বিষয়ের সংস্কার নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। ৫. কীভাবে শিল্প গড়ে তোলা যায়। এটাও সংস্কার। শ্রমিকদের কীভাবে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা যায়, সেটা নিয়েও ভাবতে হবে। ৬. পরিবেশ দূষণের কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কীভাবে আমরা দূষণ থেকে সবাইকে রক্ষা করতে পারি, কীভাবে দূষণ থেকে জাতিকে রক্ষা করতে পারি; সেটাও সংস্কারের বড় অংশ। ৭. আমরা কি সুপেয় পানি সরবরাহ করতে পারছি। কীভাবে আমরা এই ২০ কোটি মানুষের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারি, সেটা কি সংস্কার প্রস্তাব নয়। ৮. জ্বালানির চাহিদা কীভাবে পূরণ করতে পারি তাও সংস্কারের অংশ বলে মনে করেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু আমরা গণতন্ত্র ও একটি মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে সবাই ঐকমত্য। যেখানে মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে। তিনি বলেন, প্রায় সব দল মিলে জাতির সামনে আড়াই বছর আগে ৩১ দফা প্রণয়ন করেছি। যখন অনেকেই সংস্কারের কথা বলেননি। আমরা স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সংস্কারের কথা বলেছি। আমরা জনগণকে ঘিরে রাজনীতি করি। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদের সবার উচিত বেশি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করা।

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article